ঢাকার কেরানীগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিঞ্জিরা বাস রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি নিপুন রায় সংবাদ সম্মেলন শেষে শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে থানা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় নেতা-কর্মীরা নিপুন রায়ের ওপর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হামলার প্রতিবাদে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে সরাতে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দেয়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে না সরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। এ অবস্থায় পুলিশ তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে। পরে বিএনপি নেতা-কর্মীরা দৌড়ে আশপাশের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে। এ সময় হঠাৎ গুলির শব্দে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
ঘটনা প্রসঙ্গে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি নিপুন রায় বলেন, ‘কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নূর হোসেন নূরুর মায়ের অসুস্থ। তাঁকে দেখতে তাঁর বাড়ি গেলে সেখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় জিঞ্জিরার পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের পেছন থেকে লাঠিপেটা করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির বলেন, ‘কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিএনপির নেতা-কর্মীরা জিঞ্জিরা বাস রোডে অবস্থান নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এ সময় পুলিশ তাঁদের রাস্তা থেকে সরাতে চাইলে তাঁরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে রাস্তা জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।’