২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চাকরিচ্যুত ও কারাবন্দী হওয়া বিডিআর সদস্যের মুক্তি ও পুনর্বাসনের দাবিতে আয়োজিত ‘মার্চ ফর সচিবালয়’ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বহিষ্কৃত ও কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের সন্তানেরা আজ রোববার (২২ জুন) রাজধানীর জাতীয় শহীদ মিনার থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেন। পরে শিক্ষা ভবনের সামনে তাঁদের পদযাত্রা এলে পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে তাঁরা এগোতে পারেননি।
বিডিআর কল্যাণ পরিষদের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ সকাল ৮টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। বেলা ১১টার দিকে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলমের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তরে যায়। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে না পেরে প্রতিনিধিদল আবার শহীদ মিনারে ফিরে আসে।
পরে বেলা ২টার দিকে ‘মার্চ ফর সচিবালয়’ কার্যক্রম অব্যাহত রেখে সচিবালয়ের অভিমুখে পদযাত্রা করেন বহিষ্কৃত ও কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের সন্তানেরা। পরে শিক্ষা ভবনের সামনে বাধার মুখে পড়েন তাঁরা।
‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ ব্যানারের অধীনে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বহিষ্কৃত ও কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা তিন দফা দাবি হলো—পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের পুনর্বিবেচনা, নিরপরাধ কারাবন্দীদের মুক্তি এবং চাকরিচ্যুত সদস্যদের ক্ষতিপূরণ ও চাকরিতে পুনর্বহাল।
আয়োজকদের দাবি, বিডিআর ট্র্যাজেডিকে কেন্দ্র করে বিগত সরকারের আমলে অনেক নিরপরাধ সদস্যকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও তাঁদের পক্ষে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও গত ৯ মাসে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তা ছাড়া তদন্ত কমিশনকে নানা শর্তে সীমাবদ্ধ রাখারও অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক কারাবন্দী সদস্যের স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামী কোনো দিন গুলি চালাননি, অথচ বিনা দোষে আজও তিনি কারাগারে। আমরা ন্যায়বিচার চাই, সম্মান চাই।’
পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বিডিআর সদস্যরা।