শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। ফলে গার্মেন্টস সেক্টরে আর আগের মতো অস্থিরতা নেই। তবে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি আদায়ের জন্য ঐক্যের বিকল্প নেই বলে মনে করেন সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও শ্রমিক নেতা শাজাহান খান।
শাজাহান খান বলেন, ‘শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা সরকারের সঙ্গে অনেকবারই আলোচনায় বসেছি। তাতে সফলতাও এসেছে। গার্মেন্টস সেক্টরে যে অস্থিরতাটা আগে ছিল, সেটা এখন আর নেই। আন্দোলন হবে স্বাভাবিক, কিন্তু সেটি অন্যায় নয়। সরকারের দায়িত্ব সেটাকে বিবেচনায় নিয়ে সমাধান করা।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের (আইবিসি) আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় শাজাহান খান এসব কথা বলেন।
তৈরি পোশাক কারখানার মালিকরা সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হলেও শ্রমিকেরা নানাভাবে বিভক্ত। নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে শ্রমিকেরা বিভিন্ন অঙ্কের বেতন পায়। এটা ঠিক যে সে বেতনটাকে আমরা একটি স্কেলে নিয়ে আসতে পারিনি। তবে তা নিয়ে আসার সময় এখনো আছে। কিন্তু তার আগে শ্রমিকদের মধ্যে বিভিন্ন দলের যে বিভক্তি আছে তা দূর করতে হবে। শ্রমিকদের মজুরি বোর্ড নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আসলে টাকা কিন্তু দেয় মালিক, যেটা আদায় করা বেশ কষ্টসাধ্য। সেটা সম্ভব করতে হলে শ্রমিকদের মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য থাকতে হবে।’
গোলটেবিল বৈঠক থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি তেইশ হাজার টাকা নির্ধারণ, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশন ও আবাসন ব্যবস্থা চালু করা এবং গার্মেন্টস শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) চালু করাসহ বেশ কিছু দাবি তুলেছে বক্তারা।
আলোচনায় আইবিসির সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইবিসির সভাপতি আমিরুল হক আমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, সিপিডির পরিচালক ড. খন্দকার মোয়াজ্জেম।