গাজীপুরের কালিয়াকৈর বাবার কবর মেরামত করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন কল্পনা আক্তার (৩২) নামের এক আইনজীবী। এ ঘটনায় কল্পনা আক্তারের মা সখিনা বেগম (৫০) বাদী হয়ে গত শুক্রবার বিকেলে কালিয়াকৈর থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযুক্তরা হলেন—বরাব গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে দুলাল হোসেন দুলু, তাঁর স্ত্রী আছিয়া বেগম ও ছেলে নাজমুল হাসান রাজুসহ রফিকুল ইসলাম ও মরিয়ম বেগম।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের বরাব গ্রামের মৃত রেজাউল করিমের মেয়ে কল্পনা আক্তার একজন আইনজীবী। তিনি বর্তমানে পরিবার নিয়ে উপজেলার মৌচাক এলাকায় বসবাস করেন। গত শুক্রবার দুপুরে কল্পনা আক্তার তাঁর নিজ গ্রাম বরাব এলাকায় বাবার বাড়িতে মৃত বাবার কবর পরিষ্কার ও মেরামত করতে। এ সময় অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কল্পনা আক্তার ও তাঁর মা সখিনা বেগমের ওপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মারধরের একপর্যায়ে কল্পনা আক্তারের মাথায় আঘাত পেলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে অভিযোগের বাদী ভুক্তভোগী সখিনা বেগমের দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে জানান সখিনা বেগম।
কালিয়াকৈর থানার আওতাধীন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় দায়ের করা অভিযোগটির তদন্তের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’