হোম > সারা দেশ > ঢাকা

ছেলেধরা সন্দেহে রেনুকে পিটিয়ে হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুরশিদ আহম্মেদ এ রায় ঘোষণা করেন। 

যাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তিনি হলেন ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলাম। 

সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিষদে ব্যর্থ হলে প্রত্যেককে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায় বলা হয়েছে।

এ দিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ও মহিন উদ্দিনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালের ২০ জুলাই উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুব্ধ জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ওই দিন বাড্ডা থানায় ৪০০-৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রেনুর ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।

 ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক। দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়। তাদের বিচার শিশু আদালতে চলছে। 

 ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। এ মামলায় ৩৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

 

২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলে সন্তানের ভর্তির খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে উচ্চশিক্ষিতা তাসলিমা বেগম রেনু ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন।

সেদিন ছোট মেয়ে তুবাকে স্কুলে ভর্তির জন্য বাড্ডা গিয়েছিলেন রেনু। সেখানে তিনি রিয়া বেগমকে স্কুলের ব্যাপারে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞাসা করেন। একপর্যায়ে ওই অভিভাবকের বাসার ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন তিনি। এ সময় তার কথায় সন্দেহ করে ‘ছেলেধরা’ ‘ছেলেধরা’ বলে চিৎকার শুরু করেন রিয়া। তারপর স্থানীয়রা রেনুকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে রেনু স্কুলের প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢোকেন। সেখান থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে এনে তাঁকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। 

রায় ঘোষণার সময় আদালত এই মামলায় সংযুক্ত একটি ভিডিও উপস্থিতদের দেখান। সেখানে নির্মমভাবে হত্যার চিত্রটি ফুটে উঠেছে। 

আদালতের পর্যবেক্ষণ

আদালত রায় ঘোষণার সময় বলেন, অত্যন্ত নির্মমভাবে ছেলেধরা সন্দেহে রেনু বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়রা। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে জন্য অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। 

আদালত বলেন, এই মামলার আসামি ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় রেনুকে এমনভাবে মারধর করেছে, যার ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও রেনুকে আবারও মারধর করতে দেখা গেছে এই আসামিকে। অন্যরাও মারধরে অংশ নিয়েছে। তবে মামলা তদন্তের সময়ে তদন্ত কর্মকর্তা যে ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন করেছেন, সেই ফুটেজ অনুযায়ী আরও দু-একজন সংশ্লিষ্টকে আইনের আওতায় আনা যায়নি। 

রায়ে সন্তুষ্ট রেনুর দুই শিশু সন্তান

রায় শোনার জন্য মামলার বাদী রেনু বেগমের ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রেনু বেগমের ছেলে তা-সীন আল মাহির ও মেয়ে তাসমিন মাহিরা তুবা আদালতে উপস্থিত ছিল।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ছেলে তা-সীন আল মাহির বলেন, ‘আমরা সন্তুষ্ট না। সবার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলাম।’

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

রাষ্ট্রীয় শোক: ঢাকায় ৩ দিন আতশবাজি, পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে বাড়ানো হলো মেট্রোরেলের ট্রিপ

হাদি হত্যা মামলা: সিবিউন-সঞ্জয়ের তৃতীয় দফায় রিমান্ড, ফয়সাল নামে আরও একজন রিমান্ডে

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের কালো ব্যাজ ধারণ

রাজধানীর রামপুরায় অটোরিকশার ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

গয়েশ্বর চন্দ্রের আসনে বিএনপির বিদ্রোহী তিন বড় নেতাসহ ১৬ প্রার্থী, শক্ত লড়াইয়ের আভাস

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে এভারকেয়ারের সামনে ভিড়, পুলিশের ব্যারিকেড

হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্‌যাপন