দেশের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে তাঁরা এই মানববন্ধন শুরু করেন।
এই কর্মসূচির সমন্বয়ক আলমগীর হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, বিদ্যালয়গুলোর পরিদর্শন, অনুমোদন, এমপিওর কাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় দেশের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারী গণবৈষম্যের শিকার। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত হয়নি। এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা বৈষম্যের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এর পরও প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা, চিকিৎসা, কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের সমাজের মূলধারায় নিয়ে আসার কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে অবহেলিত এই জনগোষ্ঠীর ও শিক্ষক-কর্মচারীদের অগ্রযাত্রার গতি ফিরিয়ে আনতে, নোবেল বিজয়ী বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।
আন্দোলনকারীরা জানান, ‘নীতিমালা-২০১৯’-এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিশেষ বিদ্যালয়সমূহের পাঠদান স্বীকৃতি/এমপিওভুক্ত করার আবেদন আহ্বান করা হয়। সারা দেশ থেকে যথাযথ নিয়ম মেনে (প্রায়) ১৭৭২টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় আবেদন করে। আবেদনকৃত বিদ্যালয়গুলো পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করে বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি ক্যাটাগরিতে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়।
তাঁরা আরও বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তক্রমে ‘ক’ গ্রেডের বিদ্যালয়গুলো মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত হয়। অজ্ঞাত কারণে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।