নির্ধারিত সময়ের দুদিন আগেই শেষ হচ্ছে এবারের অমর একুশে বইমেলা ২০২১। শেষ দিনগুলোতেও পাঠক উপস্থিতি কম। অলস সময় কাটাচ্ছেন বিক্রয়কর্মীরা। আর প্রকাশকরা ব্যস্ত ক্ষতির হিসাব কষতে।
এবারের মেলায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে ছোট বড় সব প্রকাশনী সংস্থাই।
অনন্যা প্রকাশনীর মুনিরুল হক বলেন, গতবছর ৭০ লাখ টাকার ব্যবসা হয়েছিল। এবার হয়েছে মাত্র ৬ লাখ টাকার।
কাকলী প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নে কথা বলে জানা গেছে, তারা এবার মেলায় ৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু আজ শনিবার পর্যন্ত ব্যবসা হয়েছে মাত্র ৬ লাখ টাকার। অবসর প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক জানান, তাদের এবার গতবারের ১০ ভাগও ব্যবসা হয়নি।
ছোট প্রকাশনীগুলোর অবস্থা আরও খারাপ। বেহুলা বাংলা, চয়ন প্রকাশন, বর্ষা দুপুর, মম প্রকাশনী, দোয়েল প্রকাশনী আগামী বছর মেলায় স্টল করা নিয়েই সংশয়ে পড়ে গেছে।
কাঁটাবন পাবলিশার্স ফোরামের সদস্য ৫৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ক্ষতির তালিকা করে বাংলা একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের দুদিন আগেই অর্থাৎ ১২ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বইমেলা। যদিও সাত দিনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও বইমেলা খোলা রাখে বাংলা একাডেমি।
করোনার কারণে শুরু থেকেই ক্রেতার খরায় ভুগছে বইমেলা। প্রকাশকরা বলছেন, মেলা বন্ধের সিদ্ধান্তে তারা খুশি। আরও আগেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। কারণ মেলায় পাঠক ক্রেতা নেই, শুধু শুধু স্টল খোলা রাখতে হচ্ছে, খরচ গুনতে হচ্ছে।