রাজধানীর খিলগাঁওয়ের পৃথক স্থান থেকে দুই তরুণী ও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার আয়শা সিদ্দিকা কথা (২৩), লিমা (২১) ও তারিকুল ইসলাম (২৭) নামের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আয়শা ও লিমার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হলেও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তরিকুলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোনিয়া পারভিন জানান, বেলা পৌনে ৩টার দিকে খিলগাঁও পূর্ব গোড়ানের ৯ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় আয়শার ঝুলন্ত মরদেহ। তাঁর বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায়। স্বামী গাড়ি চালক ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। প্রতিবেশী এক ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে পাওনা এক হাজার টাকা নিয়ে দুপুরে ঝগড়া হয় আয়শার। পরে স্বামী ফরহাদের সঙ্গেও ঝগড়া করেন আয়শা। এর পর ঘরের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি।
ওসি মনির হোসেন মোল্লা জানান, লিমার মরদেহ উদ্ধার করা হয় মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নন্দীপাড়া এলাকায় খুব অসুস্থ বোধ করলে পথচারীরা তাঁকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে মারা যান তিনি। তাঁর বাবার নাম নুর ইসলাম। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
ওসি আরও জানান, দক্ষিণ বনশ্রীর ৭ /এ নম্বর রোডের এইচ ব্লকের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তারিকুল ইসলামের ঝুলন্ত মরদেহ। পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে, তিনি কয়েক বছর আগে এমবিএ শেষ করে চাকরি খুঁজছিলেন। এ ছাড়া নানা কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। এসব কারণে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি স্বজনদের। তাঁর বাবার নাম আহসান উল্লাহ।