হোম > সারা দেশ > ঢাকা

প্রায় ৩ ঘণ্টা পর তাঁতিবাজার ছাড়ল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

জবি সংবাদদাতা 

সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো তাঁতীবাজার রোড বন্ধ করে আন্দোলন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা প্রায় ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। অবরোধে আশপাশের সড়কে প্রচণ্ড যানজট দেখা দেয়। 

এর আগে বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে গুলিস্তানমুখী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরবর্তীকালে মিছিলটি রায়সাহেব বাজার মোড়ে এলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ রায়সাহেব বাজার মোড় পর্যন্ত অবস্থান করতে বললে এ সময় শিক্ষার্থীরা তাঁতীবাজার মোড় পর্যন্ত গিয়ে অবস্থান করার কথা জানায়। পরে পুলিশের অনুমতিতে মিছিলটি তাঁতীবাজার মোড়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা যাতে গুলিস্তান না যেতে পারে সে জন্য পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর শিক্ষার্থীরা তাঁতিবাজার মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে শেষ করে। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাফি বলেন, ‘আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তাহলে উন্নয়নশীল এ দেশে ৫৬ শতাংশ কোটা কোন যুক্তিতে বিদ্যমান। কোটা প্রথার একটি অমানবিক কাহিনি বলতে চাই, একটা চাকরির পরীক্ষায় ৭০ এ ৬৭ নম্বর পেয়েছি ভাইভাও ভালো হয়েছিল। কিন্তু অমানবিক কোটা প্রথার কারণে আমার চাকরি হয়নি। একটি স্বাধীন দেশে বৈষম্যমূলক কোনো কোটা থাকতে পারে না।’ 

আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী শাহিনুর ইসলাম সান বলেন, ‘আজ আমাদের পড়ার টেবিলে থাকার কথা। কিন্তু আমরা আজ আন্দোলনের মাঠে। আর কত বৈষম্যের শিকার হব। ১৯৭১ সালে এক বৈষম্যের জন্যই আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। আমাদের রাস্তা অবরোধের জন্য সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরাতো এই সাধারণ মানুষের সন্তানদের জন্যই আন্দোলন করছি।’ 

কর্মসূচি ঘোষণার সময় সমন্বয়কারী সাজ্জাদ হোসাইন মুন্না বলেন, ‘আমরা যে চারটি দাবি আগে জানিয়েছিলাম সেগুলোই থাকবে। এসব দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। কেন্দ্র থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা এলে সে অনুযায়ী আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি পালন করব।’ 

কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের চারটি দাবি হলো—২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। ১৮-এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আগুনের কালো ধোঁয়ার ভেতর আলো হয়ে উঠলেন শাহীন

এবার প্রতারণা ও মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ

সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত পাকুন্দিয়ার জাহাঙ্গীরের বাড়িতে মাতম

ছোট ভাই প্রটেকশন বাড়াও— রাকসু জিএসকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার হুমকি

বিজয় দিবসে তেজগাঁও বিমানবন্দর এলাকায় ড্রোন না ওড়ানোর অনুরোধ

খিলক্ষেত থানার পাশে পুলিশের জব্দ করা বাসে আগুন

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

সাভারে থেমে থাকা বাসে আগুন