কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফরমে দাঁড়িয়ে আছে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস। ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার সময় নির্ধারিত রয়েছে ১০টা ৩০ মিনিট। ১০টা ৩১ মিনিটে মাইকে শেষ ঘোষণা দিয়ে ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।
ট্রেনে কিশোরগঞ্জগামী যাত্রী মো. রাসেল বলেন, তিনি স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটেছেন। তেমন কোনো ভিড় নেই। ট্রেনে এসেও অতিরিক্ত যাত্রী দেখতে পাননি। সাধারণত ঈদের আগমুহূর্তে এমন দৃশ্য কল্পনা করা যায় না।
আজ রোববার সকালে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে যাত্রীদের স্বস্তির বার্তা পাওয়া গেছে। কড়াকড়ি টিকিট চেকিং আর ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নীতির কারণে পঞ্চম দিনেও স্টেশনে শৃঙ্খলা দেখা গেছে।
স্টেশনের একদম শুরুতে শুধু যেসব গাড়িতে যাত্রী রয়েছে, সেই সব গাড়ি স্টেশন এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এরপর যাত্রীরা গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে প্ল্যাটফরমের দিকে প্রবেশ করছেন। শুরুতেই যাত্রীদের সঙ্গে টিকিট রয়েছে কি না, তা চেক করছেন টিটিই ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এরপর চেক করা হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র ও নামের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে কি না। শেষ দফায় প্ল্যাটফরমে প্রবেশের মুহূর্তেও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ট্রেনের টিকিট চেক করে দেখছেন।
এদিকে আজ ঈদযাত্রার পঞ্চম দিনে অগ্রিম টিকিটের যাত্রীরা ঘরে ফিরছেন। এই দিনের টিকিট দেওয়া হয়েছিল ২৮ মার্চ। সকাল থেকে মোটামুটি সবগুলো ট্রেনই সময়মতো স্টেশন ছেড়েছে। ঈদযাত্রার বিশেষ দুটি ট্রেন জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে ঈদের আগে-পরে তিন দিন করে চলবে।
তবে যাত্রীদের আশঙ্কা রয়েছে, আগামীকাল ও ঈদের আগের দিন রেল তাদের এই অবস্থা ধরে রাখতে পারবে কি না, সেটি বড় প্রশ্ন। সাধারণত ঈদের আগে গার্মেন্টস ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ছুটির কারণে কমলাপুরে ভিড় বাড়ে।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, আগের বারগুলোতে মানবিকতার কারণে তারা যাত্রীদের যেতে দিতেন। তবে এবার তারা কঠোর অবস্থানে আছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, আগামীকাল ও মঙ্গলবার এর জন্য অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেরা নিয়োজিত থাকবেন। এখন পর্যন্ত যেভাবে টিকিট চেক করে যাত্রীরা প্ল্যাটফরমে ঢুকছে, আশা করি সামনের দুই দিনেও সেটি থাকবে।
মাসুদ বলেন, প্রতিদিন ট্রেনে করে ঢাকা ছাড়ছে প্রায় ২ লাখ মানুষ। আজ ঢাকা ও আশপাশ থেকে ৬৯টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে ৪৪টি আন্তনগর ট্রেনের যাত্রীসংখ্যা ৩৩ হাজার ৫০০। এ ছাড়া লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন রয়েছে।