ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ তিন কর্তার নির্বিঘ্নে দেশে ফেরা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তারা যাতে দেশে ফিরে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন, তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আজ রোববার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ট্রান্সকম গ্রুপের তিন শীর্ষ কর্তা হলেন গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান ও হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন। আদালতে ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ তিন কর্তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন, মাহবুব আলী, শাহ মঞ্জুরুল হক ও মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
এর আগে শাযরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনটি মামলা করেন। এ সব মামলায় কোম্পানির শেয়ার ও অর্থসম্পদ নিয়ে প্রতারণামূলক বিশ্বাস ভঙ্গ এবং জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। তিন মামলায় মোট আটজনকে আসামি করা হয়। ওই তিন মামলায়ও শীর্ষ তিন কর্তা যাতে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে গত ২১ মার্চ নির্দেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
পরে ২১ মার্চ ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি করেন সিমিন রহমানের ছোট বোন শাযরেহ হক। ৯ মাস আগে মারা যাওয়া তাঁর বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়। এই মামলায়ও তাঁরা যাতে দেশে ফিরে কোনো ধরনের বাধা ছাড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে তাঁদের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হয়।