ঈদে বাড়ি ফেরার জন্য ২৫ ভাগ স্ট্যান্ডিং টিকিটের ব্যবস্থা রেখেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। অনলাইনে টিকিট ছাড়াও যাত্রার দুই ঘণ্টা আগে স্টেশনে পাওয়া যাচ্ছে এই টিকিট। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, সুলভ শ্রেণির সমপরিমাণ টাকায় দাঁড়িয়ে বাড়ি ফেরার এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সরোয়ার জানান, আন্তনগর ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে থেকে স্টেশনে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হচ্ছে।
স্ট্যান্ডিং টিকিটের চাহিদা বেশি জানিয়ে মাসুদ সরোয়ার বলেন, প্রতিটি আন্তনগর ট্রেনের মোট সিটের ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত যাত্রীর জন্য স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ঈদযাত্রায় তার চেয়েও বেশি চাহিদা রয়েছে।
স্টেশনের ম্যানেজার জানান, আজকে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৫৫ জোড়া ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বিশেষ ট্রেন চলাচল করছে তিন জোড়া।
কিছু ট্রেন বিলম্বে ছাড়ছে
ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিন কমলাপুরে চেকিং ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা থাকলেও ট্রেন ছাড়তে দেরি হচ্ছে। সোমবার ট্রেনের সময় ঠিক থাকলেও আজ (মঙ্গলবার) অনেক ট্রেন সময়মতো স্টেশন ছাড়েনি।
স্টেশনে ঘুরে দেখা যায়, চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ট্রেনটিকে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে শিডিউল দেওয়া হয়েছে। এই রুটে দুর্ঘটনার কারণে এই ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে এমন জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ৪০ মিনিট দেরি করে স্টেশন ত্যাগ করেছে। এই ট্রেন প্রথম দিন (সোমবার) ২০ মিনিট দেরি করেছিল।
এ বিষয়ে ঢাকা মাসুদ সারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুমিল্লায় দুর্ঘটনার গতকাল ২ ঘণ্টা বিলম্ব ছিল। সেটা কমে আজ এক ঘণ্টা হয়েছে। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।’
মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘শুধু মহানগর প্রভাতি ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট দেরি করেছে। এক-দুইটা ট্রেন ছাড়া বাকি সব ট্রেন সঠিক সময়ে ঢাকা ছাড়ে। ২০ থেকে ৩০ মিনিটকে বিলম্বে বলা যায় না।’
তবে ঢাকায় যত তাড়াতাড়ি ট্রেন আসবে তত তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে জানিয়ে মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘গরমের কারণে কিছু ট্রেনের সময় এদিক-ওদিক হচ্ছে। রেলওয়ে চাইছে যাত্রীরা নিরাপদে বাড়ি ফিরুক।’
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন রোববার জানিয়েছেন, গরমের কারণে আন্তনগর ট্রেনের গতি ১০০ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত করা হয়েছে। এর কারণে যদি কোন ট্রেন দেরি করে, তবে সেটাকে শিডিউল বিপর্যয় বলা যাবে না।