রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়ায় শাহরিয়ার স্টিল মিলে লোহা গলানোর ভাট্টিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ শাহীন (২০) মারা গেছেন। তাঁর শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এস এম আইউব হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্টিল মিলে দগ্ধের ঘটনায় শাহিন নামের এক শ্রমিক মারা গেছেন। তাঁর শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে ৫৪ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মাইনুদ্দিন, ২৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে আক্তার হোসেন নামের দুজন ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
শাহীনের শ্বশুর মাহবুবুর রহমান জানান, তাঁদের বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়। স্ত্রী মাহবুবা আক্তারকে নিয়ে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারে ভাড়া থাকত শাহিন। ছয় মাস আগে বিয়ে করা শাহীন স্টিল মিলের ক্রেন ড্রাইভার হিসেবে চাকরি করতেন।
দুর্ঘটনার পরপর তাঁদের উদ্ধার করে ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া মো. শফিয়ার রহমান জানান, তাঁরা কোনাপাড়ায় শাহরিয়ার স্টিল মিলে কাজ করেন। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তাঁরা তিনজন কারখানার ভাট্টিতে লোহা গলানোর কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ ভাট্টির ভেতরে বিস্ফোরণ হয়। এতে ভাট্টিতে থাকা গলিত লোহা তাঁদের তিনজনের শরীরে ছিটকে পড়ে।