তিনজনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেন বাদী চিত্রনায়িকা পরীমণি। আজ সোমবার (২৬ মে) বেলা ১১টার পর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে হাজির হন তিনি। এদিন বিকেলে মামলায় পরীমণিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরা করার জন্য সময় ধার্য করেন বিচারক। তবে হঠাৎ অসুস্থতাবোধ করায় আদালত ছেড়ে চলে যান তিনি। এ জন্য আজ তাঁকে জেরা করা সম্ভব হয়নি।
সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য পরে নতুন দিন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন বিচারক। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক শাহিনা হক এই তারিখ ধার্য করেন।
এই মামলার আসামিরা হলেন উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় পার্টির নেতা নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তাঁর সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহিদুল আলম।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এই মামলায় পরীমণি সাক্ষ্য দেন। ওই দিন তাঁর জবানবন্দি দেওয়া শেষ হয়। আজ তাঁকে আসামিপক্ষে জেরা করার জন্য দিন ধার্য ছিল।
পরীমণি ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। সকালে হাজির হওয়ার পর তাঁকে জানানো হয়, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করবেন। পরীমণি তাঁর নিজের গাড়িতে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি অসুস্থতাবোধ করায় ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করে তিনি চলে যান। পরে ট্রাইব্যুনাল নতুন তারিখ ধার্য করেন।
পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা সুরভী রিফাত আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বর ও ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই পরীমণি আংশিক জবানবন্দি দেন। সাক্ষ্য দেওয়ার একপর্যায়ে পরীমণি আদালতকে বলেন, ‘আমি ঘটনার কিছু বিষয় প্রকাশ্যে বলতে চাচ্ছি না।’ তখন বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি ক্যামেরা ট্রায়াল করতে চান?’
এরপর পরীমণির আইনজীবী ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন করেন। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে বলেন, ক্যামেরা ট্রায়ালে এ মামলার বিচার হবে।
এর আগে ২০২২ সালের ১৮ মে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একই ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করেন। ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ১৪ জুন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির, অমিসহ আরও চারজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমণি। ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয় এজাহারে। পরে তিনজনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির ও মারধরের অভিযোগ প্রমাণিত হয়।