নরসিংদীর শিবপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে গুলির ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে তাঁর ছেলে আমিনুর রশিদ খান বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় এই মামলা করেন। মামলায় পুটিয়ার কামারগাঁও এলাকার আরিফ সরকারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয়জনের নাম উল্লেখসহ মোট ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে এই মামলায়। শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি ফিরোজ তালুকদার আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে। দ্রুতই গুলির প্রকৃত কারণ জানা ও জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
মামলার অন্য আসামিরা হলেন পূর্ব সৈয়দনগর এলাকার মো. মহসিন মিয়া (৪২), পুটিয়া কামারগাঁও এলাকার ইরান মোল্লা (৩০), মুনসেফেরচর এলাকার শাকিল (৩৫), কামারগাঁও এলাকার হুমায়ূন (৩২) ও নরসিংদী সদর থানার ভেলানগর এলাকার ড্রাইভার নূর মোহাম্মদ (৪৮)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত শনিবার আসামিরা স্থানীয় একটি মসজিদের জন্য অনুদান নিতে এসেছেন জানিয়ে ফোন করে হারুনুর রশিদ খানকে দরজা খুলতে বলেন। দরজা খুললে তাঁরা বাসায় ঢোকেন। তাঁদের বসতে বলে আপ্যায়নের জন্য বাসার ফ্রিজের দিকে ঘুরলে হারুনুর রশিদ খানকে পেছন থেকে তিনজন গুলি করেন। এতে তিনি লুটিয়ে পড়লে আসামিরা ঘর থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা সদরের বাজার সড়কের নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন শিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ খান। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: