টাঙ্গাইলের সখীপুরে কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব মোশাররফ হোসেনকে (৪৫) এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই ইউনিয়নের এক নারী গ্রামপুলিশ শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাঁকে এ দণ্ড দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিত্রা শিকারী ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এই সাজা দেন।
ইউপি সচিব মোশাররফ হোসেন মির্জাপুর পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।
কালিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এসএম কামরুল হাসান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে ওই নারী গ্রামপুলিশ ইউনিয়ন পরিষদের দোতলার একটি কক্ষ পরিষ্কার করতে যান। এ সময় ইউপি সচিব মোশাররফ হোসেন ওই কক্ষে গিয়ে নারী গ্রামপুলিশকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে নারী গ্রামপুলিশ দৌড়ে নিচে নেমে এসে চেয়ারম্যানসহ উপস্থিত সবাইকে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর ওই ইউপির চেয়ারম্যান কামরুল হাসান তাৎক্ষণিক ঘটনাটি ইউএনও চিত্রা শিকারীকে জানান। পরে ইউএনও চিত্রা শিকারী ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ইউপি সচিব মোশারফ হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
ইউএনও চিত্রা শিকারী বলেন, শ্লীলতাহানির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ইউপি সচিব মোশাররফ হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।