সপ্তম ধাপে ১৩৬টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দুজন। নির্বাচন কমিশন এই প্রাণহানির দায় নিতে রাজি নয়। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘দুজন নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছে। তারা ভোটকেন্দ্রের বাইরে স্থানীয় গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারিতে নিহত হয়েছেন। এ দুই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় প্রশাসন। নির্বাচন কমিশন কারও জীবনহানি আশা করে না। কিন্তু এরপরও অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা ঘটে গেছে। এ ক্ষেত্রে কমিশনের ব্যর্থতা নেই। কারণ সহিংস ঘটনাগুলো স্থানীয়ভাবে সংঘটিত হয়। সরাসরি কমিশনের কোনো দায় নেই। এটা স্থানীয় প্রশাসন দেখবে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করে থাকি।’
অশোক কুমার দেবনাথ আরও বলেন, সব মিলিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ১৩৬টি ইউপিতে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে সাতটিতে নির্বাচন হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। নির্বাচনে ব্যালট পেপারে বিকেল সাড়ে পাঁচটার তথ্য অনুযায়ী ভোট পড়েছে ৬৫ শতাংশের মতো। আর ইভিএমে পড়েছে ৬১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গণনা শেষ হলে প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে। ছয়টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। সার্বিকভাবে নির্বাচন ভালো হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে ভোটাররা কেন্দ্রমুখী হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনিয়মে জড়িত ইসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেকে সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। অনেকের বিরুদ্ধে বিভাগী মামলা হয়েছে। এগুলোর তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।