টাঙ্গাইলের সখীপুরে পরিবহনশ্রমিককে মারধরের জেরে বণিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। সংগঠন দুটি পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
দুই পক্ষের সমাবেশ থেকে প্রতিপক্ষ সংগঠনের সভাপতির বিরুদ্ধে কটাক্ষমূলক বক্তব্য দিয়ে তাঁদের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। দুই দিন ধরে চলা এই অবস্থার কারণে পৌর শহরের তালতলা চত্বরে উত্তপ্ত পরিবেশ বিরাজ করছে।
ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, সখীপুর বাজার বণিক বহুমুখী সমবায় সমিতির নিয়োগ করা নৈশপ্রহরী লুৎফর রহমান প্রায় তিন সপ্তাহ আগে গভীর রাতে জহিরুল ইসলাম নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালককে মারধর করেন। বিষয়টি পরে উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে বণিক সমিতিতে জানানো হয়। পরে অভিযুক্ত লুৎফরকে নৈশপ্রহরীর চাকরি থেকে বরখাস্তের প্রতিশ্রুতি দেয় সমিতি। সম্প্রতি ওই প্রহরীকে পুনরায় দায়িত্ব পালন করতে দেখে সিএনজি শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মতিনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন অটোরিকশাশ্রমিকেরা। মিছিলে বণিক সমিতির সভাপতি বিল্লাল হোসেনকে আওয়ামী লীগের দালাল দাবি করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর পদত্যাগের আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
এর পাল্টা হিসেবে আজ বুধবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বণিক সমিতি। এ সময় ব্যবসায়ীরা উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মতিনকে পদ থেকে অপসারণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে মতিন বলেন, ‘একজন শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় বণিক সমিতির সভাপতি বলেছিলেন ওই নাইটগার্ড আর চাকরি করতে পারবে না। কিন্তু তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেন নাই। ওই নাইটগার্ড মোটরসাইকেল আটকিয়ে টাকা রেখে দেয়। এটা নাইটগার্ডের কাজ না। এ কারণেই আমরা বণিক সমিতির সভাপতির পদত্যাগ চেয়েছি।’
জানতে চাইলে বণিক সমিতির সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের অনুরোধে আমরা ওই নৈশপ্রহরীকে দায়িত্বে পাঠিয়েছি। শ্রমিকদের নেতৃত্ব দেওয়া আব্দুল মতিন প্রকাশ্যে বণিকদের অপমান করেছেন। এরপর তাঁরা বাজারে মিছিল-সমাবেশ করতে চাইলে প্রতিহত করা হবে। আমরা তাঁকে (মতিন) আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে আমরা ইউএনও অফিস ও থানায় স্মারকলিপি দেব।’
যোগাযোগ করা হলে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা আজকের পত্রিকাকে জানান, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বসে বিষয়টি মীমাংসার প্রক্রিয়া চলছে।