সাভারের আশুলিয়ায় একই ঘটনায় একটি ফ্ল্যাটে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী (১৬) ও ১২ বছরের এক শিশু। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনকে আশুলিয়া থানা থেকে প্রিজন ভ্যানে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে ভোরে তাঁদের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মাদারীপুরের কালকিনি থানার আলীপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে রেজাউল করিম ইমন (২১), শেরপুর জেলার সদর থানার বাকের কান্দা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে নাঈম (২০), একই গ্রামের একাব্বর আলীর ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর থানার আকানগর গ্রামের আজমল খানের ছেলে আশরাফুল (২০) ও একই গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে নুর হোসেন (২০)। তারা সবাই বর্তমানে আশুলিয়া ডেন্ডাবরে বিভিন্ন বাসায় ভাড়া থাকেন।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার প্রতিবেশী ১২ বছরের আরেক শিশুকে নিয়ে দোকানে যায়। এ সময় অভিযুক্ত নাঈম কৌশলে তরুণীসহ ও শিশুকে পূর্ব ডেন্ডাবরে তাজুল ইসলামের মালিকানাধীন বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। পরে নাইম আরও চারজনকে খবর দিয়ে সেখানে নিয়ে যান।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে ভোরে ডেন্ডাবরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের পাঁচজনকে আটক করেছি। পরে দুই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাশিদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আলাদা দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিশোরীর ঘটনায় গণধর্ষণ ও শিশু মেয়ের ঘটনায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। দুই মামলায় গ্রেপ্তার ৫ জন আসামী। ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।