কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ চলছে। সকালের মধ্যেই সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে আশপাশের সড়কে অবস্থান নেন নেতা-কর্মীরা। সমাবেশ উপলক্ষে নগরীর কান্দিরপাড় এলাকার বেশির ভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে। তবে বড় দোকান বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে ছোট ছোট খাবারের দোকান। বড় দোকান বন্ধ থাকায় চাপ পড়েছে এ ছোট দোকানগুলোতে। এসব দোকানে চলছে বেচাবিক্রির ধুম।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে নগরীর রানীর বাজার সড়কের কিং ফিসার রেস্টুরেন্টে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বসার স্থান না থাকায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন অনেকে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হয়ে গেছে খাবার। পরে মুরগির তেহারি রান্না করে বিক্রি শুরু করেন দোকানি।
এ দোকানের স্বত্বাধিকারী শ্যামল জানান, সকালে নাশতা বিক্রির পর ১০০ টাকা প্লেট মুরগির তেহারি বিক্রি শুরু করি। সেটা শেষ হয়ে গেছে। দুপুরে বিক্রির জন্য খাবার রান্না করা হচ্ছে। মুরগির তেহারি প্যাকেট করে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। সরবরাহ করতে কোনো ঝামেলা হচ্ছে না।
মা বেকারির মালিক মোস্তফা বলেন, ‘সমাবেশ হবে জেনে আগে থেকেই অতিরিক্ত মালামাল এনেছি। বেচাবিক্রি বেশ ভালোই হচ্ছে।’
কান্দিরপাড়ের চা-দোকানদার জালাল মিয়া বলেন, ‘দোকানের সব খাবার বিক্রি হয়ে গেছে সকালেই। পুঁজি কম থাকায় বেশি মাল (খাদ্যসামগ্রী) তুলতে পারিনি।’
কান্দিরপাড় ও আশপাশের এসব ছোট দোকানের সঙ্গে সঙ্গে বেচাবিক্রিতে ব্যস্ত রয়েছেন ভ্রাম্যমাণ হকাররাও। লিটন মিয়া, জাকির হোসেন, মমতাজ উদ্দিনসহ অনেক হকার রয়েছেন সমাবেশের আশপাশের সড়কে। বেচাবিক্রি করছেন পুরোদমে।
স্থানীয় নেতারা জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা দুপুরের পরে বক্তব্য রাখবেন। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা, উত্তর জেলা, মহানগর এবং চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিএনপির সব ইউনিট এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করছে।