কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জহির উদ্দিন হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১৮৫ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের ছোট ভাই মো. এসাক মোল্লা (৩০) বাদী হয়ে ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে তিতাস থানায় মামলা করেন।
অপরদিকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭০ থেকে ৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছে। পুলিশের দায়ের করা মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে দুই মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে মানিককান্দি গ্রাম।
পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে জড়িত মনির হোসেন নামের একজনকে গত বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করেছে তিতাস থানা-পুলিশ। মনির পুলিশ পাহারায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুই মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।
হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, জহির উদ্দিন হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশের দায়ের করা মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রুবেল মিয়া (৩০), মারুফ হোসেন (৩২), দিদার মিয়া (২৬), হালিম মিয়া (৩২), ইকবাল মাহমুদ (৪৬) ও মনির হোসেন (৪৮)।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, জহির হত্যার ঘটনায় তাঁর ভাই মো. এসাক মোল্লা বাদী হয়ে ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা রেখে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ ছাড়া সংঘর্ষের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৭০ থেকে ৮০ জনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিককান্দি গ্রামের জমি দখল নিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল আহম্মেদ ও তাঁর সমর্থক সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের সমর্থকদের সঙ্গে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে যুবলীগ নেতা জহিরের পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে জহির নিহত হন।