কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের তালতলী এলাকার ধর্ষণের শিকার এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী মৃত সন্তান প্রসব করেছেন। তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এ ঘটনায় মামলা করেছেন ওই নারীর বাবা। ময়নাতদন্তের আগে বিবাদীরা লাশ চুরি করে নিয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় পাহারা দিচ্ছে পুলিশ।
ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার মামলা হলে রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও এক নারীকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আজ শনিবার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন মেঘনা থানা পরিদর্শক মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছর ৬ জুন থেকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আষিশ কুমার আচার্য্য (৪০) ও তালতলী এলাকার ঝরিনা বেগমের (৪২) সহায়তায় এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে কয়েক দফা ধর্ষণ করা হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ওই নারীর পেটে ব্যথা হলে মেয়েকে জিজ্ঞেসের পর তাঁর বাবা সব ঘটনা জানতে পারেন। ওই নারীকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিলে আনুমানিক ৬ মাসের একটি মৃত ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। পরে ওই শিশুকে কবর দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ওই নারীর বাবা গতকাল বাদী হয়ে মেঘনা থানায় ওই দুজনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। পরে গতকালই তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরিদর্শক বলেন, আগামীকাল রোববার বাচ্চার ময়নাতদন্তের স্বার্থে মরদেহ উত্তোলনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করা হবে। তবে ময়নাতদন্তের পূর্বে বিবাদীপক্ষের লোকজন কবর থেকে বাচ্চাটি চুরি করতে পারেন। সেই আশঙ্কা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।