কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ২০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদের মধ্যে কোতোয়ালি থানা ও ডিবির যৌথ অভিযানে ১২ জন এবং র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার অভিযানে আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নগরজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর কান্দিরপাড়ে ভিক্টোরিয়া কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শাখায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে মোস্তাফিজুর রহমান, অয়ন দেবনাথ, মো. মাহিন, মো. রিজভীসহ পাঁচজন আহত হন। আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে নগরীর শাকতলা র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম জানান, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত আট কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
তিনি বলেন, ১৯ অক্টোবর সংঘর্ষের পরপরই র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত আট কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পৃথক অভিযান চালিয়ে আরও ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সংঘর্ষের অন্যতম নেতৃত্বদাতা সিফাত (২০) ও আবরার (১৯) রয়েছেন।
আজ দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে চাপাতি, হাঁসুয়া ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। জড়িতদের শনাক্ত করে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।