ঢাকার বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কুমিল্লার দুই আপন বোন ও এক খালাতো বোন নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন—আপন দুই বোন ফৌজিয়া আফরিন রিয়া, সাদিয়া আফরিন আলিশা ও খালাতো বোন নুসরাত জাহান নিমু।
ফৌজিয়া আফরিন রিয়া লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের চরবাড়িয়া এলাকার হাজি কোরবান আলীর মেয়ে। রিয়া মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আর সাদিয়া আফরিন আলিশা ঢাকার ভিকারুননিসা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অপর দিকে কোরবান আলীর ভায়রা ভাই কুমিল্লা সদর উপজেলার বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে নুসরাত জাহান নিমু (১৮) ঢাকা সিটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আজ শুক্রবার সকালে তিনজনের মরদেহ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় নেন স্বজনেরা। এ সময় স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে বাড়ির পরিবেশ। দূরদূরান্ত থেকে স্বজনেরা আসেন সান্ত্বনা দিতে।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠেন কোরবান আলী। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে মালয়েশিয়া ফিরে যাবে। তাই তারা দুই বোন এবং আমার ভায়রা ভাইয়ের মেয়েসহ প্রথমে পিৎজা হাটে যায়। সেখানে কার্ড পাঞ্চ করে। প্রথমে বেইলি রোডে আগুনের ঘটনা শুনে আমরা নিশ্চিত হই মেয়েরা ভালো আছে।
‘পরে হঠাৎ ফোন আসে। মেয়েরা চিৎকার করতে করতে বলে, “বাবা আমরা বেইলি রোডে কাচ্চি ভাইয়ে। এখানে আগুন লাগছে। আমাদের বাঁচাও বাঁচাও।’ এরপর দৌড়ে সেখানে গিয়ে দেখি, আমার দুই মেয়েসহ আমার ভায়রা ভাইয়ের মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে। আমি এ শোক কেমনে সইব!’
আজ বাদ জুমা নুসরাত জাহান নিমু (১৮) এবং বিকেল ৪টার দিকে রিয়া ও আলিশার জানাজা শেষে তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা বেইলি রোডের কাচ্চি ভাইয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কুমিল্লার কতজন নিহত তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।