আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ক্যাম্পাসে। গত শনিবার রাত থেকে গতকাল রোববার গভীর রাত পর্যন্ত ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ জন। আজ সোমবার সকালেও বিপুলসংখ্যক রাম দা, লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল আর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপ নিজ নিজ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আক্রমণাত্মক অবস্থায় টহলে রয়েছে। এ অবস্থায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ক্যাম্পাসে।
চুয়েট ক্যাম্পাসের এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার থেকে ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জানা যায়, ছাত্রলীগের এই দুই দলের শিক্ষার্থীদের এক গ্রুপ হচ্ছে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং অপর গ্রুপ হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।
এর জের ধরে ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী নাছিরের সমর্থকেরা প্রতিপক্ষকে হলে প্রবেশে বাধা দিতে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে জড়ো হয়। কিন্তু নওফেলের সমর্থকেরা অনেকেই ক্যাম্পাসের পেছনের গেট দিয়ে হলে প্রবেশ করেন। এরপর নাছিরের সমর্থকেরা তাদের আক্রমণ করতে ড. কুদরতি খুদা হলের সামনে জড়ো হন। এ সময় তাদের হলে না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উভয় পক্ষই একে অপর পক্ষের রুমের তালা ভেঙে প্রবেশ করে স্লোগান দিতে থাকেন। যা আজ রোববার ভোর পর্যন্ত চলতে থাকে। এ সময় দুই পক্ষের হাতেই বিপুলসংখ্যক দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়।
এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ইফফাত হক নিশান জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের হলকে কোনো পক্ষেরই ঘাঁটি হতে দেব না। যেহেতু ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাই শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করা উচিত বলে মনে করি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, আমরা ক্যাম্পাসেই অবস্থান করছি। যেকোনো পরিস্থিতিতে চুয়েট উপাচার্যের পরামর্শ এবং আমাদের ঊর্ধ্বতনদের আদেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম জানান, আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।