হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

পিবিআইয়ের করা মামলায় বাবুল আক্তারের রিমান্ড নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানায় পিবিআইয়ের (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) এসপি নাইমা সুলতানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। 

আজ রোববার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আব্দুল হালিমের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। ফেনী কারাগারে বন্দী থাকা বাবুল আক্তার এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মওলা মুরাদ বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করছিলেন। শুনানি শেষে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। 

এর আগে গত বছর ১৭ অক্টোবর পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বাদী হয়ে বাবুল আক্তারসহ চারজনের নামে মামলা করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন, বাবুল আক্তারের ভাই অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া। 

গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর মামলাটির তদন্ত সংস্থা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আরিফুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। 

গত ৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল থেকে জামিন নিয়েছিলেন বাবুল আক্তারের বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু। এ ছাড়া আসামি ইলিয়াস হোসাইন মামলাটিতে পলাতক রয়েছেন। 

আলোচিত মামলাটির এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে ইউটিউবসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় পৃথক দুটি ভিডিও প্রকাশ করেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। এর একটি হচ্ছে, ‘স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে ও খুনি পেয়েছেন তদন্তের দায়িত্ব’, অপরটি ‘প্রতিবছর স্বামী পাল্টায় পিবিআইয়ের এসপি নাইমা সুলতানা’। 

ভিডিওতে নাইমা সুলতানার সম্পর্কেও বিভিন্ন বক্তব্য দেওয়া হয়। সেই ভিডিওতে বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতন করাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন তিনি। এ ঘটনার জেরে এসপি নাইমা সুলতানা মামলা করেন। একই ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় আরেকটি মামলা করেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। 

ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় প্রথমে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে আরেকটি মামলা করা হয়। 

তবে আদালতের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত বাবুল আক্তারের করা মামলায় বাদীকে প্রধান আসামি করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। গত ১১ জানুয়ারি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করতে মহানগর হাকিমের আদালত থেকে মামলা দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। 

সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে দোকানের কর্মচারীর মৃত্যু

চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী বুইশ্যার সহযোগী ইমন গ্রেপ্তার

দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন, চট্টগ্রামে ‘পাহাড়খেকো’ জসিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

১৯৬৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ: এস আলমের সাইফুলসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত

সিএমপির ১৬ থানায় ঘুরেফিরে পুরোনোরাই ওসি

৬ একর জমি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ও জেলা প্রশাসনের বিরোধ, বরাদ্দ পেল সিটি করপোরেশন

শিশুর জটিল চিকিৎসা নিয়ে প্রশিক্ষণ আদান-প্রদান ৮০ চিকিৎসকের

আগামী নির্বাচনে জনগণই তাদের ভোট পাহারা দেবে: সালাহউদ্দিন আহমদ

ধর্মীয় শিক্ষা প্রাথমিক থেকেই শুরু করা হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা