চান্দিনায় প্রশাসন এলেই নামানো হয় সব দোকানের শাটার। তবে প্রশাসন চলে গেলে আবারও খোলা হচ্ছে।
গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, চান্দিনা বাজারের দোকানের একটি শাটার খুলে সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে একজন কর্মচারী। তিনি প্রশাসনকে পাহারা দিচ্ছেন।
দোকানে সামনে রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। প্রশাসন আসার খবর পেলেই শাটার নামিয়ে দিচ্ছে দোকানের সামনে থাকা কর্মচারী। সরে যাচ্ছে ক্রেতারা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মাসুম বলেন, কঠোর বিধিনিষেধে এক শাটার খুলে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রশাসনের এ বিষয়ে আরও কঠোর হওয়া উচিত। এ ছাড়া বাজার কমিটি ও জনপ্রতিনিধি কাজ করতে হবে।
চান্দিনা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা বিধিনিষেধের আগে দিন থেকেই সবাইকে সতর্ক করছি। তারপরও কেউ কেউ আমাদের কথা না মেনে দোকান খোলা রাখছে। তবে আমরা চেষ্টা করছে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে।’ এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুন নাহার বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছি। জরিমানা করছি। এ ছাড়া সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারাই দোকাই খুলছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে চান্দিনায় ক্রমেই বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্ত রোগীর দুই–তৃতীয়াংশই চান্দিনা পৌর এলাকার বাসিন্দা। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চান্দিনার ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছ একজন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চান্দিনায় এ পর্যন্ত ৯৯৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ৪৫ জন। সুস্থ হয়েছে ৬৪৩ জন।