চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে সৌদিগামী এক যাত্রীকে কক্ষে আটকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
আজ রোববার ওই কমিটিকে দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসনিম আহমেদ।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এএসআই রাজীবের নেতৃত্বে নুরুল আমিন নামের এক সৌদি আরবগামী যাত্রীকে গতকাল শনিবার দুপুরে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। অটোরিকশা পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার জেরে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন। এ কারণে তিনি তাঁর ফ্লাইটে বিদেশ যেতেও পারেননি।
নুরুল আমিন লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সৌদি আরবের মদিনায় থাকেন বলে জানা যায়।
নুরুল আমিন বলেন, ‘বিকেল ৫টার বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দরে যাই। গাড়ি পার্কিং নিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হলে এপিবিএনের ওই এএসআইয়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আমাকে একটি কক্ষে নিয়ে মারধর করেন এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। সেখানে চিৎকার শুরু করলে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা অন্য কক্ষে নিয়ে যান এবং সমঝোতার চেষ্টা করেন।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসনিম আহমেদ বলেন, সৌদিগামী যাত্রীকে কক্ষে আটকে মারধর করার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিমানবন্দরে গাড়ি প্রবেশের ক্ষেত্রে কিছুটা কড়াকড়ি ছিল, যাত্রী হয়তো বুঝতে পারেননি। ওই যাত্রীর সঙ্গে কী ঘটেছিল তদন্তের পর জানা যাবে।’