চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক রাজমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার খিরাম ইউনিয়নের প্রেমপুর গ্রামের লম্বাটিলার পাদদেশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের নাম মো. সুমন (৪০)। তিনি উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের মুহাম্মদ মানিকের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি রাজমিস্ত্রির জোগালি হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নে হলেও দীর্ঘদিন ধরে সে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রেমপুর লম্বটিলায় স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক পুত্র সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে কাজের উদ্দেশ্যে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরেন নি। তাঁর ১ ছেলে এবং ২ মেয়ে রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী শাহেদা আকতার জানান, তাঁর স্বামী গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের মত কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। রাতে বাড়িতে ফিরে না আসায় তাঁকে মোবাইল করলে তা ধরেননি তিনি। পরে সকালে তাঁকে মোবাইল করলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শাহেদা আকতার বলেন, ‘আমার স্বামীর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। তিনি ভালো মানুষ ছিলেন। কিন্তু কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা জানি না। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
খিরাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসেইন সৌরভ বলেন, ‘নিহতের বসতবাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের পাদদেশ এলাকার লোকজন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ইউপি সদস্যকে বিষয়টি জানায়। ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে পুলিশে খবর দিলে পরে পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার বলেন, ‘নিহতের মাথায় বামপাশে কানের উপরিভাগ জুড়ে বিশাল কোপের চিহ্ন রয়েছে। আমরা খবর পেয়ে মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।