কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অন্তত ছয় জায়গায় পাহাড় ধসে পড়েছে। এতে একজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ উপড়ে পড়েছে। অন্যদিকে জলাবদ্ধতায় রেললাইন ডুবে যাওয়ায় শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আজ সোমবার ভোরে ক্যাম্পাসের কাটা পাহাড়, গোলপুকুর, শাহী কলোনি, পরিবহন দপ্তর ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদসংলগ্ন পাহাড় ধসের এসব ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কাটা পাহাড় সড়কে দুই জায়গায় পাহাড় ধসে মাটি রাস্তায় এসেছে। ফলে কাটা পাহাড় রাস্তাটি বন্ধ আছে। এ ছাড়া ব্যবসায় প্রশাসন ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদসংলগ্ন রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়ে বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পাশের রাস্তায়ও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরসংলগ্ন একটি পাহাড় ধসে পড়েছে।
এর বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহী কলোনির পুরোনো ক্যানটিনের পাশে একটি বসতঘরে পাহাড় ধসে একজন আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়েক দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে রাতে কয়েকটি পাহাড় ধসে পড়েছে। এ কারণে কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ উপড়ে গেছে। বর্তমানে উদ্ধার ও মেরামতের কাজ চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘যেখানে যেখানে গাছ পড়েছে ব্লক আছে, সেগুলো সরানোর ব্যবস্থা চলছে। পাহাড় ধসে একজন মাথায় আঘাত পেয়েছেন। সবকিছু স্বাভাবিক করতে আমরা কাজ করছি।’
এদিকে জলাবদ্ধতার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে একটি শাটল ট্রেন ফতেয়াবাদ স্টেশনে আটকা পড়ে। অন্যদিকে আরেকটি ট্রেন নগরীর ষোলশহরে অবস্থান করছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গামী কোনো ট্রেন ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছাতে পারেনি।
ষোলশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে রেললাইন পানির নিচে ডুবে আছে। এ কারণ শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রেললাইন থেকে পানি সরে গেলে শাটল ট্রেন চলাচল করবে।