নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে মাছ ধরার সময় নৌ পুলিশ ও জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষে আমির হোসেন নামে এক জেলে নিহত ও হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মজুচৌধুরীরহাট নৌ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক মো. জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১১ জেলের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে আটক ১০ জেলেকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—এমরান হোসেন, সাইদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, কামাল উদ্দিন, মোসলেহ উদ্দিন, সবুজ মাঝি, জহিরুল ইসলাম, মনির হোসেন, মোকতার হোসেন এবং সবুজ ইসলাম।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে নদীতে কাজ করছে নৌ-পুলিশ। সে অনুযায়ী গত শনিবার দিবাগত রাতে প্রতিদিনের মতো নদীতে অভিযানে নামে নৌ-পুলিশ। রোববার ভোরে মজুচৌধুরীরহাট এলাকার মেঘনা নদীতে পৌঁছায় পুলিশ। এ সময় কয়েকটি নৌকাসহ ৪০-৫০ জনের একদল জেলে নদীতে মাছ শিকার করছিল। মাছ ধরার কারণে নৌ-পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে জেলেরা নৌ-পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলা করে। পরে পুলিশও পাল্টা হামলা চালায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে ৪ জেলে গুলিবিদ্ধসহ ১১ জেলে ও ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত জেলে আমির হোসেনকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।