জুরাছড়ির পাহাড়ে পাহাড়ে এখন পাকা ধানের সুবাস। সকাল থেকে জুমে জুমে ধান কাটছে জুমিয়ারা। ধান কাটা শেষে জুমঘরে কিংবা জুমের ছায়া স্থানে মাড়াই করছেন তাঁরা। এখন পাহাড়ের চূড়ায় চূড়ায় পাকা ধান শোভা পাচ্ছে। জুমের ফলনও ভালো হয়েছে। জুমের উৎপাদিত ধান দিয়ে ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত খাবারের জোগান পায় জুমিয়ারা। এবার ধান ছাড়াও জুমে হলুদ, মারফা, আদা, মরিচ, কচু, মিষ্টি কুমড়ো, তিল, ভুট্টা, বরবটিসহ প্রায় ৪০ জাতের সবজির চাষাবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নে পাহাড় ঘুরে দেখা গেছে, জুমের খেতগুলোতে কোথাও ধান কাটা চলছে, কোথাও চলছে কাটার প্রস্তুতি। টিয়া, ঘুঘু, চড়ুই, বন্য শুকরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে পাহারা দিচ্ছেন চাষিরা।
দুমদুম্যা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা বলেন, এ বছর ধানের অনেক ভালো ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহফুজ আহমেদ সরকার বলেন, উপজেলায় ৭৩০ হেক্টর পাহাড়ি জুমে আউশ চাষাবাদ হয়েছে। এখন কাটার পর্যায়ে রয়েছে। আনুমানিক হেক্টর প্রতি ১ দশমিক ৪ টন চালের ফলন আশা করা হয়েছে।