ফলটি বড় কোনো গাছে পরগাছা হিসেবে লতায় ধরে। পাকলে সিঁদুরের রঙের মতো হয়। খাওয়ার পরও যেন হাতে-ঠোঁটে রং লেগে থাকে। বলা হচ্ছে, পাহাড়ি বুনো ফল রসকোর কথা। সুস্বাদু এই ফলের কদর পার্বত্য ছাড়াও অন্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে।
রসকো ফলচাষিরা জানান, ফলটি বাজারে আকার ভেদে কেজিতে ২০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে এই ফল প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হতো। এক টাকায় অনেক ক্রেতা ১০ থেকে ২০টি করে রসকো ফল কিনতে পারতেন।
রাঙামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ইউনিয়নের মৌনতলা এলাকার লক্ষ্মী কুমার চাকমার (৫৫) একটি রসকো লতা আছে। ১৫ বছর ধরে তাঁর লতাটি ফলন দিচ্ছে। এ বছর তিনি ৭০ হাজার টাকার রসকো বিক্রির আশা করছেন। এই লতা চাষ বাড়ানোর জন্য তিনি আরও একাধিক রসকো লতা রোপণ করেছেন।
প্রাকৃতিক বনের বড় গাছে রসকো লতা বেড়ে ওঠে বলে জানিয়ে লক্ষ্মী কুমার বলেন, ‘ফলটি চাষ করতে হলে বড় গাছ লাগবে। যে গাছের স্থায়ীত্ব অনেক বছর। সাধারণত আম গাছে এই লতা ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। বড় গাছের কোনো ক্ষতি না করে বছরের পর বছর বেঁচে থাকে লতাটি।’
পার্বত্য চট্টগ্রামের আবহাওয়া রসকোর চাষের উপযোগী। তাই এটি বাণিজ্যিক চাষে কৃষকেরা লাভবান হতে পারেন বলে মনে করেন তপন কুমার।
জেলা কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে, জেলা কৃষি বিভাগের প্রচলিত ফলের তালিকায় রসকো ফলের নাম নেই।