চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এস এম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। হামলায় আহত প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে শনিবার রাতে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর।
আসামিরা হলেন শাহাজাহান বাদশা ওরফে বাদশা (৩৮), শফিকুল ইসলাম (৪৫), হেলাল উদ্দিন হৃদয় (৩৮), আমজাদ হোসেন (৩৮), আশিকুর রহমান (৩৫), ওসমান ওরফে ডাকাত ওসমান (৩৮), কামরুল হাসান রিদোয়ান (৩৫), সাইদুল হক সাদু (৫৫), রফিক উল্লাহ হামিদী (৫৮) ও ইমাম হোসেন (৩০)। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫ জনকে। আসমিরা সবাই জঙ্গল সলিমপুর এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, এস এম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ৩০টি দোকানের ভাড়ার টাকা প্রতি মাসে স্কুল ফান্ডে জমা রাখা হতো। আর সে টাকা ব্যয় করা হতো বিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজে। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি ভাড়ার টাকা থেকে চাঁদা দাবির পাশাপাশি বিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় আসামিরা বসতঘরের দরজা ভেঙে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢোকে। পরে তারা আলমারির দরজা ভেঙে স্বর্ণালংকার, টাকাসহ তিনটি মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা প্রধান শিক্ষককে ঘর থেকে উঠিয়ে বাইরে নিয়ে যায়। পরে তারা তাকে উপর্যুপরি পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, জঙ্গল সলিমপুর এস এম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বসতঘরে লুটপাট ও হামলার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।