কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভেতর নির্মাণাধীন একটি ভবনের মালামাল চুরি সন্দেহে মহিউদ্দিন (৩০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভবনের নৈশপ্রহরী মিজানুর রহমানকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আজ বৃহস্পতিবার আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মহিউদ্দিনকে মারধরের ঘটনাটি ঘটে গত রোববার রাতে কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভেতরে। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে জেলার সদর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মিজানুরসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনের নামে মামলা করেছে। মহিউদ্দিন মারা যাওয়ার বিষয়টি গতকাল প্রকাশ্যে এসেছে।
নিহত মহিউদ্দিন লালমনিরহাটের সৈয়দনগর এলাকার বাসিন্দা। গ্রেপ্তার মিজানুরের বাড়ি জেলার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা এলাকায়।
মহিউদ্দিন নিহত হওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নিহতের পরিবারের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাঁর লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’
ওসি রফিকুল বলেন, ‘মারধরের কারণে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নৈশপ্রহরী মিজানুর আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে নিহত ওই যুবকের স্বজনদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আজ আদালতের মাধ্যমে মিজানুরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আবুল মনজুর বলেন, ‘অফিস কম্পাউন্ডের ভেতর নতুন একটি ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এই ভবনের ঠিকাদারির দায়িত্ব পেয়েছেন টার্ন বিল্ডার্স। গ্রেপ্তার মিজানুর টার্ন বিল্ডার্সের নিয়োগ করা নৈশপ্রহরী ছিলেন। এ ঘটনায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কেউ জড়িত নেই।’