চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানোয় চর পাথরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহমেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে জরুরি সভা শেষে এ ঘোষণা দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রনি।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত সৈয়দ আহমেদ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলীর ছোট ভাই।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ আহমেদ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক চৌধুরীর পক্ষে কাজ না করে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলীর (আনারস) হয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। তাই দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাঁকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী বলেন, সৈয়দ ১৭ বছর ধরে চর পাথরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এবার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে বিরোধী পক্ষের হয়ে প্রচারণা চালান। তাই দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করায় তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তবে সভাপতি পদ থেকে সৈয়দ আহমেদকে অব্যাহতি দেওয়ার খবরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অব্যাহতিকে লোকদেখানো ছেলেখেলা আখ্যায়িত করে কর্ণফুলীতে বহিষ্কৃতদের পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে সৈয়দ আহমদ বলেন, ‘আমি আত্মীয়স্বজনের চাপে বড় ভাইয়ের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করছি। নির্বাচনে অনেক নেতা আমার ভাইয়ের পক্ষে কাজ করছেন। এ জন্য অনেক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। অনেক বহিষ্কৃতকে আবার পুরস্কৃতও করা হয়েছে।’