চট্টগ্রামের পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাসেম চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ কাইছের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাসেম চৌধুরীর অনুসারী ইদ্রিচ চৌধুরী অপু বাদী হয়ে পটিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ কাইছসহ তাঁর ৮ থেকে ১০ জন অনুসারীকে আসামি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে কাশিয়াইশ ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো নয়াহাট, বুধপুরা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পরপরই নৌকার প্রার্থী আবুল কাসেম সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, পূর্ব নির্ধারিত সভা শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ কাইছের নেতৃত্বে নৌকার অফিস ভাঙচুরসহ তাণ্ডব চালানো হয়েছে।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ কাইছ জানান, নৌকার প্রার্থী আবুল কাসেমের অনুসারীরা অতর্কিতভাবে বহিরাগতদের নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলা, ভাঙচুরের সঙ্গে তিনি কিংবা তাঁর কোন সমর্থক জড়িত নয়। বরং নৌকা প্রতীকের অনুসারীরা তাঁর ক্যাম্প ভাঙচুর করে এখন তাঁর ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা করছেন।
পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্ন ঘটালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, মোহাম্মদ কাইছ গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।