হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

কর্মকর্তাকে মারধর: বিপিসির ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম 

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ হাতে আসার পর পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সাময়িক বরখাস্তের এ অফিস আদেশ আসে। 

বহিষ্কৃতরা হলেন—কোম্পানির মোংলা অয়েল ইনস্টলেশনের কনিষ্ঠ বিক্রয় কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহনুর (৪০), প্রকৌশলী (কক্সবাজার শাখা) মো. সেলিম (৪২), অপারেটর মো. মামুন (৪০) (কক্সবাজার শাখা), নিরাপত্তা প্রহরী (বগুড়া শাখা) মো. শওকত হোসেন (৪০) এবং কাস্টমস ও ভ্যাট শাখার শাহ্ মুহাম্মদ শাফায়াত জালাল (৪১)। এদের মধ্যে শাহ্ মুহাম্মদ শাফায়াত জালালের বাড়ি গোপালগঞ্জে। বাকিদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের বন্দর ও পতেঙ্গা থানায়। 

এ বিষয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মনিলাল দাশ জানান, এসএওসিএলের চাকরি প্রবিধানমালা অনুযায়ী উল্লিখিত পাঁচ কর্মকর্তা কর্মচারীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কোম্পানি। তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানির কর্মকর্তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের তথ্য প্রমাণ আছে। এ কারণে থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে কোম্পানির পক্ষ থেকে। 

মামলার এজাহারে থাকা তথ্যমতে, গত ১২ অক্টোবর দিবাগত রাতে নগরীর পতেঙ্গা থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন হামলার শিকার ভুক্তভোগী ও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা (টেকনিক্যাল) মো. আনিসুর রহমান। মামলায় কোম্পানির উল্লিখিত পাঁচজনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। এদিকে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ওই দিন দল বেঁধে হামলা চালানোর সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানায় পতেঙ্গা থানা-পুলিশ। পাঁচ আসামির বাইরে সিসি ক্যামেরায় আরও তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা সবাই এসএওসিএলের কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা চট্টগ্রামের স্থানীয় হয়েও জেলার বাইরে কাজ করার কারণে বদলির জন্য প্রতিষ্ঠানের সিইওসহ কর্মরত অফিসার ও অন্যান্য স্টাফদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন। দ্রুত তাদের চট্টগ্রাম শহরের প্রধান কার্যালয়ে বদলি করে নিয়ে আসা না হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। গত ৯ অক্টোবর দুপুরে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আনিসুর রহমানসহ কয়েকজন পতেঙ্গার ১৫ নম্বর ঘাট সংলগ্ন উপকূল রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে অভিযুক্তরা অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে নিয়ে তার ওপর হামলা চালান। তাদের হাতে লাঠিসোঁটা, লোহার রড ও ধারালো ছোরা ছিল। এ সময় আনিসুরের কাছ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। মামলার পর পুলিশ এখনো আসামিদের ধরতে পারেনি। 

এ বিষয়ে পতেঙ্গা থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কিরণ হোসেন বলেন, ‘আসামিদের ধরতে আমরা ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালাচ্ছি।’

বাসার দরজা ভেঙে চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

একমঞ্চে ৬১ চিকিৎসা গবেষণাপত্র উপস্থাপন

চবির শাটলে বসা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা, শিক্ষার্থীকে মারধর

রাউজানে ৪টি ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা, একজন বলছিলেন—‘গুলি কর’

পার্বত্য চুক্তির বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে গ্রেপ্তার আইনজীবী জামিনে মুক্ত

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারার প্রতিবাদে দিনে লাল পতাকা, রাতে মশাল মিছিল

চমেক হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে অর্ধদিবস কর্মবিরতি

পার্টির পেছনে ইসলাম থাকলে, সেটা ইসলাম হয়ে যায় না: সালাহউদ্দিন আহমদ

সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচলের দ্বিতীয় দিনেও কোটার ৮০০ কম পর্যটক