গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগে পটিয়ায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার যুবকের নাম হৃদয় হোসেন সাগর (৩০)। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে পটিয়া কালারপুল ফাঁড়ির পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হৃদয় হোসেন সাগর উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের এক গার্মেন্টস কর্মী পটিয়া পৌর সদরের আমজুরহাট এলাকার একটি গার্মেন্টসে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করে আসছেন। সোমবার সকালে ওই গার্মেন্টস কর্মী (১৬) প্রতিদিনের মতো চাকরিতে যায়। কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে কুসুমপুরা ইউনিয়নের গাজী মসজিদ এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে ৫ জন যুবক জোরপূর্বক একটি সিএনজি করে তুলে নিয়ে যায়। পরে কোলাগাঁও ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামের নির্জন একটি এলাকায় নিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গণধর্ষণ করে। ঘটনার পর ওই গার্মেন্টস কর্মী তার বাবাকে জানায়। পরে থানা-পুলিশকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ওসিসিতে ভর্তি করায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা মোহাম্মদ ছৈয়দ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে সাগরকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওই কিশোরীর বাবা মোহাম্মদ ছৈয়দ জানান, তার মেয়েকে জোরপূর্বক ৫ যুবক ধর্ষণ করেছে। এর মধ্যে সাগর, এমরান, মহিউদ্দিন, রনির নাম পাওয়া গেছে।
পটিয়া থানার পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, গার্মেন্টস কর্মীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগে একজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।