চট্টগ্রামের রাউজানে যুবদল নেতার দাবি করা ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় এক ডিশ ব্যবসায়ীর বসতঘরের সামনে গুলি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গহিরা গ্রামের আবদুস সোবহান দারোগা বাড়ির ডিশ ব্যবসায়ী আবদুল হালিমের ঘরের সামনে গতকাল শনিবার রাতে এই গুলি করা হয়।
ভুক্তভোগীদের দাবি, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফয়েজ ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর ডিশ ব্যবসায়ী হালিমের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ ঘটনায় ২১ মে ফয়েজকে প্রধান আসামি করে রাশেদ, জসিম, রাশেদ (২) ও মো. মহিউদ্দিনকে আসামি করে রাউজান থানায় লিখিত এজাহার দেন হালিমের স্ত্রী সুমি আকতার।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চাঁদা না দিলে ডিশ ব্যবসায়ী হালিম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এর পর থেকে একাধিকবার বসতঘরের সামনে গিয়ে গুলি ছোড়ে আতঙ্ক ছড়ানো হয়।
সর্বশেষ গতকাল রাতে গুলি করে বলে অভিযোগ করেন হালিম। তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষুদ্র আকারে ডিশ ব্যবসা করে আসছি ১৮ বছর ধরে। আমি বিএনপিকে সমর্থন করায় বিগত সরকারের আমলে আমার বিরুদ্ধে কয়েকটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। এলাকায় ব্যবসা করতে হলে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে বলেছিল ফয়েজ। আমার কাছ থেকে দু-তিন ধাপে ১০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছিল। আরও চাঁদা দিতে না পারায় এখন ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছি না।’
রুবি আকতার নামের এক নারী বলেন, ‘এখানে এসে গুলি করে চলে যায়। আমরা রাস্তায় বের হলে ফয়েজসহ বেশ কয়েকজন আমাদের আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন।’
জানতে চাইলে ফয়েজ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন। আবদুল হালিম আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর আলমগীর আলীর সহযোগী সন্ত্রাসী, একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগ হওয়ায় তাকে এলাকা থেকে চলে যাওয়ার চাপ দিচ্ছি আমরা।’
যোগাযোগ করা হলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘গোলাগুলির বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। তবে তারা খুব খারাপ লোক। চাঁদার জন্য গোলাগুলি করলেও করতে পারে। আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব। তবে আগে চাঁদাবাজির এজাহার পেয়েছিলাম। সেটির তদন্ত চলমান রয়েছে। তাদের থানায় আসার জন্য আজ রোববার বলা হয়েছে।’