চট্টগ্রাম: নিজেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার সময় এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে এক ভুক্তভোগীর বুদ্ধিমত্তায় তিনি হাতেনাতে ধরা পড়েন পুলিশের হাতে।
আটক ব্যক্তির নাম জয় বড়ুয়া (২২)। তিনি রাঙ্গুনিয়ার পদুয়ার পূর্ব পাড়ার লিটন বড়ুয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি উত্তর পতেঙ্গার স্টিলমিল বাজারের হাউজিং কলোনি রোডের একটি বাসায় থাকেন। দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি—এমন অভিযোগ তুলে পতেঙ্গার স্টিলমিল বাজারের আলী প্লাজায় এক দোকানে টাকা দাবি করেছিলেন তিনি।
ভুক্তভোগী মো. ইসমাইল বলেন, ‘আমাকে প্রথমে ৫ লাখ টাকা দিতে বললে আমি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করি। পরের দিন ফোন দিয়ে তিনি আমাকে জানান, অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে জরিমানা ৪ লাখ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। বিষয়টি তাই ১ লাখ টাকায় দফারফার কথা জানান তিনি। এ সময় আমি ফোনালাপটি মোবাইলফোনে রেকর্ড করি এবং মার্কেট কমিটিকে জানই। গতকাল শনিবার রাতে ১ লাখ টাকা নিতে এলে আমি তা ১০ হাজার টাকায় সমঝোতার প্রস্তাব দেই। এ সময় মার্কেট কমিটি কৌশলে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে থানায় নিয়ে যায়।’
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোবাইর সৈয়দ জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের স্টিলমিল বাজারের বাটা শোরুমে মাস্ক না পরার অভিযোগে সেখানে থাকা ক্রেতাদের জোরপূর্বক বের করে দেন জয় বড়ুয়া। এ সময় দূর থেকে একটি আইডি কার্ড দেখিয়ে নিজেকে সিআইডি কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন করেন তিনি। পরে সরকার ঘোষিত সময়ে দোকান বন্ধ না করা ও দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না—এমন অভিযোগ তুলে দোকান মালিক মো. ইসমাইলের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা দাবি করেন তিনি। এক দিনের মধ্যে এই জরিমানা পরিশোধ করতে দোকান মালিককে সময় বেঁধে দেন এই যুবক। পরে টাকা নিতে এলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড, প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ও চাঁদা হিসেবে হাতিয়ে নেওয়া নগদ টাকা জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় একটি প্রতারণা মামলা করা হয়েছে।