চট্টগ্রামের চান্দগাঁও সিডিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ নির্বাচন কমিশনের ১০৮ নম্বর কেন্দ্র। প্রধান গেট দিয়ে ঢুকতেই কেন্দ্রের ভোটকক্ষের দায়িত্বে থাকা এক নারী এজেন্ট বের হয়ে যাচ্ছেন। বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করতেই উত্তর, ‘ভোটার নেই, ফাঁকা, তাই নাশতা করতে যাচ্ছি।’ নাম জানতে চাইলে তিনি বলেননি। তবে তাঁর গলায় নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া পোলিং এজেন্টের পরিচয়পত্র ঝুলাতে দেখা গেছে।
কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে এই পোলিং এজেন্টের কথার সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে। তিনটি ভোটকক্ষে বেলা দেড়টা পর্যন্ত যথাক্রমে ভোট পড়েছে ৪, ৮ ও ২৯টি। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ২৩ জন। অবশ্য প্রিসাইডিং অফিসার মো. আরিফুজ্জামানের দাবি, এই কেন্দ্রে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ৯০টি ভোট পড়েছে; যা শতকরা ৫ শতাংশ। ভোটার উপস্থিতি ও ভোট কম কাস্টিং হওয়ার কয়েকটি কারণও বলেছেন তিনি।
আরিফুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদে অনেকে বাড়িতে গেছেন, তাঁরা না আসায় ভোটার কম। এ ছাড়া অনেকে চাকরিজীবী, তাঁরা হয়তো বিকেলের দিকে আসবেন।
সরেজমিন দুপুর ১২টা থেকে এক ঘণ্টা অবস্থান করে একজন ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। তিনটি ভোটকক্ষে পোলিং এজেন্টরা বেশ হাসিখুশি। নাশতা করছেন। গল্প করছেন। কেউ কেউ বেরও হয়ে গেছেন।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) কামাল পাশা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলীর সমর্থকেরাও রয়েছেন মাঠে।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সব কেন্দ্রে স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি ডিবির মোবাইল টিমও রয়েছে। এ ছাড়া তিন প্লাটুন বিজিবি ও তিন প্লাটুন র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। এই আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন।