ইস্টার্ণ ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার ও দুই ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। গ্রাহককে আসল এফডিআর না দিয়ে ভুয়া এফডিআর সরবরাহের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের মামলায় তাদের এই দণ্ড দেন।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ আজ বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকার ইস্টার্ণ ব্যাংক শাখার সাবেক প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার ও নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকার আলমগীর কবিরের ছেলে মো. ইফতেখারুল কবির, একই এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে জুলেখা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক আবদুল মাবুদ ও নগরীর হালিশহর রামপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে লাবিবা ট্রেডিংয়ের মালিক জাকির হোসেন।
একই রায়ে ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের স্ত্রী ফারজানা হোসেন ফেন্সিকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেওয়া হয়। মামলার তিন আসামিই কারাগারে রয়েছেন জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি কাজী ছানোয়ার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এই কারণে আদালতের বিচারক তিনজনকে সাজা ও জরিমানার আদেশ দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করেছেন।
মামলার রায়ে আসামি মো. ইফতেখারুল কবিরকে দন্ডবিধি অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা জরিমানা দেওয়া হয়। আবদুল মাবুদকে ১২ বছরের কারাদন্ড ও ৮৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং আসামি জাকির হোসেনকে ৬ বছর ৬ মাসের কারাদন্ড ও ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার ও আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালজালিয়াতি ও এফডিআর না করেও ভুয়া এফডিআর তৈরির মাধ্যমে গ্রাহকের উল্লিখিত অংকের টাকা আত্মসাত করেন উপরে উল্লেখিতরা। পরে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর দুদক চট্টগ্রামের উপ পরিচালক মো. লুৎফুল কবির চন্দন উল্লিখিত চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের ১২ আগষ্ট মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার বাদী মো. লুৎফুল কবির চন্দন। আলোচিত এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া বিচারিক কার্যক্রম শেষে আজ বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করা হল।