কক্সবাজারের চকরিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতা খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে আরও একজন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাছিমারকাটায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রের কাছে এ হামলা চালানো হয়।
নিহত আরিফুল ইসলাম (৪০) খোজাখালী হাছিমারকাটা গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেন সিকদারের ছেলে। তিনি কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদক ছিলেন বলে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মোহাম্মদ জুনাইদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিকট আত্মীয়দের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আরিফকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’ আহত ব্যক্তির নাম খায়রুল ইসলাম (৪৭)। তিনি ওই এলাকার মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি নিহত আরিফের চাচাতো ভাই।
এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন সুজনকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, আরিফ ও সুজনের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আজ কৈয়ারবিল ছোয়ালিয়াপাড়া স্টেশন থেকে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন আরিফ ও তাঁর চাচাতো ভাই খায়রুল। পথে সুজন ও তাঁর মা ফাতেমা বেগম তাঁদের গতিরোধ করেন। এ সময় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আরিফকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে করেন সুজন। তাঁকে বাঁচাতে খায়রুল এগিয়ে গেলে তাঁকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন। খায়রুলকে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আরিফের বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তাঁর নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ছুরিকাঘাতের কথা স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’