বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় কক্সবাজারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে এই সভা হয়। জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় সেন্ট মার্টিন নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। সেখানকার হোটেল, রিসোর্ট ও দুতলা ভবনগুলোয় যাতে দ্বীপের বাসিন্দারা আশ্রয় নিতে পারে তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলার উপকূলীয় এলাকার ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উঁচু ভবনে আশ্রয়কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। আগামীকালের মধ্যে উপকূলের ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য দেন।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে ইতিমধ্যে দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ টেকনাফে স্থানান্তর করা হয়েছে। দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ রাখা ও খাওয়া-দাওয়ার আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে উপকূলের ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হবে।