চট্টগ্রাম: করোনা সংক্রমণ রোধে ঈদের বাজারে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে নজরদারি করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। গত শুক্রবার ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরের খুলশী, বায়েজিদ, কোতোয়ালি, সদরঘাট, হালিশহর, চকবাজার, বাকলিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদের বাজারে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন।
এ সময় ১৮ মামলায় ৫ হাজার ৯০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায়ের পাশাপাশি ৩০০ মাস্ক বিতরণ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হান মেহেবুব নগরীর খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী নগরীর বন্দর ও ডবলমুরিং এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দুটি মামলা দেন। এ ছাড়া ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
কোতোয়ালি ও সদরঘাট এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা। এ সময় একটি মামলা ও ২০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। হালিশহর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দুটি মামলার পাশাপাশি ৭০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ। চকবাজার ও বাকলিয়ায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দুটি মামলার পাশাপাশি ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন।
এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ শহরের পাহাড়তলী ও আকবর শাহ এলাকায় চারটি মামলা দায়ের করে মোট ১ হাজার ৬০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোনিয়া হক চান্দগাঁও এবং পাঁচলাইশ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। তিনি চারটি মামলার পাশাপাশি ১ হাজার ১০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি তিনটি মামলা দায়ের করে ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।
এ ছাড়া লকডাউন সফল করার লক্ষ্যে সন্ধ্যার পর থেকে আরও দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুসা নাছের চৌধুরী ও প্রতীক দত্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন।