চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের বাফার (ক্লিপ) ভেঙে ১৪টি বগি বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও তিন ঘণ্টা আটকা থাকার পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আজ বুধবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার উত্তর এয়াকুব নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রেলওয়ে উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁরা বিচ্ছিন্ন হওয়া বগিগুলো ইঞ্জিন দিয়ে সীতাকুণ্ড স্টেশনে টেনে এনে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের ইঞ্জিনের পেছনে ফের জোড়া লাগান। প্রায় তিন ঘণ্টা পর (বুধবার) বিকেল পৌনে ৫টায় ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
সীতাকুণ্ড রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোজাম্মেল হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর বিচ্ছিন্ন বগিগুলো ইঞ্জিনের সহায়তায় টেনে এনে ফের জুড়ে দিলে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। উদ্ধার কাজ করা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা ট্রেনটি আটকা ছিল। তবে বিকল্প পথে স্বাভাবিক ছিল ট্রেন চলাচল।’
ট্রেনের একাধিক যাত্রী বলেন, ট্রেন চলাকালে তাঁরা হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। এই সময় তাঁরা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন। ইঞ্জিনের বাফার (ক্লিপ) ভেঙে ট্রেনের ১৪টি বগি বিচ্ছিন্ন হলেও চালক তা বুঝতে না পেরে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪ থেকে ৫ শ গজ দূরে ট্রেনটি চালিয়ে নিয়ে যান। এরপর বগি বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে থেমে যান।
সীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি। এ সময় ট্রেনটি সীতাকুণ্ডের উত্তর এয়াকুব নগর এলাকা হঠাৎ বিকট শব্দে ইঞ্জিনের পেছনের বাফারটি (ক্লিপ) ভেঙে যায়।