হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল: শ্রমিক পরিবহনসংকটে বিনিয়োগেও টান

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

শুরুতেই শ্রমিকসংকটে পড়েছে দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক অঞ্চল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী। আবাসন ও গণপরিবহনব্যবস্থা না থাকায় এখানে কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছেন না শ্রমিকেরা। ব্যাপক পোস্টারিং, লিফলেট বিতরণ, এমনকি মাইকিং করেও কারখানায় কাজ করার মতো শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিনিয়োগ।

শ্রমিকসংকটের বিষয়টি স্বীকার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরীতে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) প্রকল্প পরিচালক এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই শিল্পনগরীর কারখানাগুলোকে কর্মীদের আবাসন ও পরিবহন সমস্যা নিয়ে বিরাট চ্যালেঞ্জে পড়তে হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী চট্টগ্রাম শহর থেকে ৬৭ কিলোমিটার, ফেনী থেকে ৫০, সীতাকুণ্ড থেকে ৩৪ এবং মিরসরাই শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বেজা (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ) চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও ফেনীর সোনাগাজীতে প্রায় ৩০ হাজার একর উপকূলীয় এলাকাজুড়ে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১৩৮ দশমিক ৫৫ একরে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাস্তবায়ন তত্ত্বাবধান করছে। বেপজার তথ্য অনুসারে, খাইশি লিনজেরি ছাড়াও চীনভিত্তিক আরও দুটি কোম্পানি—ফ্যানকুন কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল ও কেপিএসটি শুজ—বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদনে রয়েছে। এসব কারখানায় যুক্ত আছেন প্রায় ৯০০ শ্রমিক।

বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরীর ছয়টি কারখানা হলো এশিয়ান পেইন্টস, ম্যাকডোনাল্ড স্টিল, নিপ্পন ম্যাকডোনাল্ড স্টিল, ম্যারিকো, সমুদা কনস্ট্রাকশন এবং বসুন্ধরা রেডিমিক্স। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬০০ শ্রমিক কাজ করেন। ২০২৪ সালে আরও তিনটি কারখানা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শিল্পনগরীতে বেপজার প্রকল্প পরিচালক এনামুল হক বলেন, অনেক বিনিয়োগকারী আসছে, কিন্তু এ সমস্যার কথা শুনলে পিছু হটছে। বেপজা এলাকায় তিনটি কারখানা পুরোদমে চালু হয়েছে। শ্রমিকসংকটে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চালু হওয়া তিনটি কারখানার সাড়ে ১৪ হাজার শ্রমিক প্রয়োজন। অথচ আছেন ১ হাজার ৬০ জন। ১০টি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজ চলছে। ২৯টি প্রতিষ্ঠানের লিজ স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে।

আরও ২০টি প্রতিষ্ঠানের বেশি লিজ স্বাক্ষর সম্পন্নের প্রস্তুতি চলছে। শ্রমিক ও পরিবহনের চাহিদা মেটাতে সম্প্রতি বারইয়ার হাট থেকে অর্থনৈতিক জোন পর্যন্ত ৪৫ আসনের বিআরটিসির পাঁচটি দ্বিতল বাস চালু করা হয়; যা অত্যন্ত কম বলে মনে হয়।

প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, খাইশি লিনজেরি (চীনা কোম্পানি) গত ডিসেম্বরে ১২ হাজার শ্রমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। মাইকিং করার পরও মাত্র ৯০০ কর্মী নিয়োগ দিতে পেরেছে। চায়নিজ কোম্পানি কেপিএসটি সুজ লিমিটেডের ২ হাজার শ্রমিক দরকার। ফ্যানকুন কম্পোজিটের ৫০০ শ্রমিক দরকার; কিন্তু চাহিদামতো শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।

অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে ৬০ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা খাইশি লিনজেরি শ্রমিক ঘাটতি মেটাতে জোন কর্তৃপক্ষের কাছে সহায়তা চেয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরীর প্রকল্প পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক বলেন, ‘শ্রমিকদের জন্য আবাসন প্রকল্পের বিষয়টি মাস্টারপ্ল্যানে কিছু জমি রাখা ছিল। কিন্তু নানা কারণে এগুলো অধিগ্রহণ করা যায়নি। বিষয়টা নিয়ে আমরা আবার চিন্তা করছি, শ্রমিকেরা যাতে নানা সুযোগ-সুবিধাসহ কম খরচে থাকতে পারেন।’

পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান খাইশি লিনজেরির মানবসম্পদ কর্মকর্তা জামান উল্লা বলেন, ‘দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে। শ্রমিকসংকটে আমাদের কারখানাগুলো পুরোদমে চালু করা যাচ্ছে না। অপর্যাপ্ত আবাসন এবং গণপরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় শ্রমিকেরা কাজ করতে আসতে চাইছেন না।’

হাদির মৃত্যুর খবরে নওফেলের বাসায় অগ্নিসংযোগ, ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ

বাহিনী নির্মূলে প্রয়োজনে চরমপন্থা অবলম্বন করতেও দ্বিধা করব না: সিএমপি কমিশনার

বিএনপির প্রার্থীকে জামায়াত মনোনীত উল্লেখ নির্বাচন কর্মকর্তার ছকে

ঘুমে পুলিশ, থানায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার সেলফি

কুমিল্লায় বাস ধর্মঘটে অচল গণপরিবহন, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

কার্ডিকন চট্টগ্রাম-২০২৫: দেশীয় চিকিৎসার ওপর আস্থা তৈরির তাগিদ

থানচিতে ভিডব্লিউবি কর্মসূচি: সরকারি সঞ্চয়ের টাকা পাচ্ছেন না ১২০০ নারী

মাতারবাড়ী ও চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে আশিক চৌধুরী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবক গুলিবিদ্ধ

৩০৮৫ কোটি টাকা আত্মসাতে এস আলম ও জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুই মামলা