কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার চিরিংগা শহর এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা সাড়ে তিন শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান চালায় চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও চকরিয়া পৌরসভা।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম। এ সময় ১৩টি মামলায় ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
চকরিয়া পৌরশহর কক্সবাজার ও পার্বত্য বান্দরবানের পাঁচ উপজেলার সংযোগস্থল। শহরের মহাসড়ক ও ফুটপাতের ওপর নানা পণ্যের দোকানপাট বসানো হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাসহ অন্যান্য গাড়ির অবৈধ স্ট্যান্ড থাকায় নিত্যদিন যানজট লেগে থাকে। এতে শহরে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা নানা বিড়ম্বনায় পড়েন।
এ সময় চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাহাত উজ জামান, পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মাসউদ মোরশেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা প্রশাসনের লোকজন, থানা–পুলিশ এবং পৌরসভার বর্জ্য ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের শতাধিক লোকজন উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন।
উচ্ছেদের পর কয়েকজন ভ্রাম্যমাণ দোকানদার জানান, ফুটপাতে বসলে চিরিংগা সোসাইটি ফল ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের নামে প্রতিদিন ৩০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। এ ছাড়া স্থানীয় নেতাদের দৈনিক ও মাসিক চাঁদা দিতে হয়। এ ছাড়া যে মার্কেট বা দোকানের সামনে ভাসমান দোকান বসানো হয়; তাঁদেরও এককালীন মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মাসউদ মোরশেদ বলেন, ‘পৌর শহরের ফুটপাতে হকার ও অবৈধ স্ট্যান্ড থাকার কারণে যানজট লেগেই থাকে। এতে দুর্ভোগে পড়েন লোকজন। অভিযানের পর যেসব দোকানদার অবৈধভাবে দোকানপাট বসাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে পৌর কর্তৃপক্ষ এবার আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।’
এ বিষয়ে ইউএনও মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন অনেক পর্যটক চলাচল করে। যানজটের কারণে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই পৌরশহরে যানজটমুক্ত রাখতে, ফুটপাতে কোনো প্রকার দোকানপাট বসতে দেওয়া হবে না। ফুটপাতে অবৈধভাবে দোকান বসালে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।