চট্টগ্রামের পটিয়ায় ইফতার মাহফিলের ব্যানারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান বি এম জসিমের নাম না থাকায় দলটির নেতা জিতেন কান্তি গুহকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করে পালিয়ে থাকা আসামি ইন্দ্রজিৎ চৌধুরীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রামের আসকার দিঘির পাড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৯ এপ্রিল পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর ব্যানারে সদ্যসমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা বি এম জসিমের নাম না থাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা হিতেন গুহকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি ইন্দ্রজিৎ গুহ আসকার দিঘির পাড় এলাকায় তাঁর এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আজ শনিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী লিও চন্দন দে নামে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করছেন। ঘটনার পেছনে আধিপত্য বিস্তার ছাড়াও অন্য কোনো কারণ আছে কি-না, তা বের করতে শনিবার দুপুরে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল বিচারকের আদালতে তাঁর তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ এপ্রিলের ঘটনার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে সারা দেশেই ব্যাপক আলোচনা হয়। ওই রাতেই জিতেন কান্তি গুহের ছোট ভাই তাপস কান্তি গুহ বাদী হয়ে বি এম জসিমসহ সাতজনের নাম উল্লেখ এবং আরও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। ওই রাতেই বি এম জসিম, তাঁর বড় ছেলে মুসফিক উদ্দিন ওয়াসি ও আইয়ুব নামের আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে পটিয়া থানা-পুলিশ। এখনো পালিয়ে থাকা বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।